অনিকাকে ডাক্তার হতে দিলো না সড়ক দুর্ঘটনা

কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ঢাকার ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আনিকা আক্তার তাহসিন (২২) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই বাসের অন্তত ১০ যাত্রী। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই মেডিকেল ছাত্রী কুমিল্লা নগরীর দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত প্রকৌশলী মামুনুর রশিদের মেয়ে।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লা অভিমুখী রয়েল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জের টামটা এলাকায় আসার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি ডোবায় পড়ে যায়। এসময় বাসে থাকা অন্তত ১২জন যাত্রী আহত হয়।

আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল ছাত্রী আনিকা আক্তার তাহসিন (২২) ও জেলার বুড়িচং উপজেলার মিথিলাপুর গ্রামের মৃত সফিকুর রহমানের মেয়ে রৌশন আরাকে (৫০) মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যায় ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে ফাঁড়ীর ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম জানান, নিহত আনিকা আক্তার তাহসিন ঢাকার ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক।

রাতে আনিকার মরদেহ বাড়িতে আনার পর স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এলাকায় মেনে এসেছে শোকের ছায়া। মরদেহ দেখতে আনিকার আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠিসহ এলাকার শোকার্ত লোকজন বাড়িতে ভীড় জমায়। স্থানীয়রা জানান, ৫ বোনের মধ্যে সে ছিল সবার কনিষ্ঠ ছিল খুব মেধাবী। ৫ মাস আগে আনিকার বাবা প্রকৌশলী মামুন মারা যান। তাই ওই পরিবার একটি শোক কাটিয়ে না উঠতে আজ সবার আদরের কনিষ্ঠ আনিকাকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ পুরো পরিবার।

তার বড় বোন তাননিয়া আল নিসা জানান, বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল আনিকা একজন বড় ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবায় কাজ করবে, কিন্তু একটি দুর্ঘটনা আমাদের পরিবারের সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিল। শুক্রবার বাদ জুম্মা এলাকায় নামাজে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন